বিপদ কেটেছে, নিম্নচাপে রূপান্তরিত ঘূর্ণিঝড় ‌‘সিত্রাং’

শেরপুর ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বৃষ্টি ঝরিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দিনগত রাত তিনটার দিকে প্রকাশিত আবহাওয়ার সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১২ ও শেষ) আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ সোমবার রাত ৯টার দিকে ভোলার কাছ দিয়ে অতিক্রম শুরু করে বরিশাল ও চট্টগ্রামের উপকূল। ‘সিত্রাং’ অতিদ্রুত উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করেছে। মধ্যাঞ্চল অতিক্রম করার সময় বৃষ্টি ঝরিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছে। আজ ভোরের মধ্যেই আসামের দিকে নিম্নচাপটি অতিক্রম করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ‌‘সিত্রাং’-এর মূল অংশের উপকূল অতিক্রম শুরু করার পূর্বাভাস দিলেও শেষের দিকে এটি গতি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই আগেভাগেই উপকূল অতিক্রম শুরু করে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-৯ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। যে পানি ইতোমধ্যেই অধিকাংশ এলাকা থেকে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।