আদমদীঘিতে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির নসরতপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে আমিরুল সরদারকে হত্যা মামলার আসামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত তহিদুলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি ও দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলমকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরে ‘র‌্যাব ১১ ও ১২’ এর টিম অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি তহিদুল ইসলামকে (৫০) গ্রেপ্তার করে। তহিদুল লক্ষীপুর গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। পরে র‌্যাব তাকে থানা পুলিশে জমা দেন।

নিহত আমিরুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, ‘২২ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টায় মামলার প্রধান আসামি শাহিন মোবাইল ফোনে লক্ষ্মীপুর গ্রামের ক্লাব ঘরে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় জানাতে পারি শাহিন-তহিদুলের নেতৃত্বে মহসীন, আরিফ, সালাম, মামুন, জুয়েল, বকুল ও সাগরসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌড়ে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পাই। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে আমার ছেলেকে।’

জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পরের দিন দুপুরে আমিরুলের বড় বোন আফরোজা বেগম বাদী হয়ে শাহিন, তহিদুলসহ ৩৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর আসামি নুর ইসলাম কবিরাজ, আবু বক্কর ও ওয়াহেদ নামের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ঘটনার ২০ দিন পর মামলার আরেক আসামি তহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাকি আসামিরা এখনও পলাতক রয়েছে।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দল থেকে শাহিন ও তহিদুলকে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক আজাদ জানান, নসরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য তহিদুল ইসলাম এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ এবং ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ফলে তাদের স্ব-পদ হতে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, গ্রেপ্তারকৃত তহিদুলকে জেল হাজতে পাঠানো এবং ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।