সোনাতলায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: সোনাতলায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে যমুনা নদীর মধ্যে নৌকায় তুলে ধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এদিকে ওই ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী গত শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে সোনাতলা পৌর এলাকার কামারপাড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর ওই মাদ্রাসার ছাত্রী অটোভ্যানযোগে ভেলুরপাড়া পৌঁছিলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর এলাকার বুলু মিয়ার ছেলে রাশেদুল ইসলাম ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে গিয়ে নৌকায় চেপে যমুনা নদীর মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

এসময় ধর্ষিতার চিৎকারে নদীর পাশের জমিতে ধান কাটারত কৃষকেরা নদীর মধ্যে চিৎকারের শব্দ শুনতে পেয়ে অন্য নৌকা যোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দু‘জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে যুবকটিকে আটকে ফেলে। এরপর তারা থানায় সংবাদ দেয়। পরে থানা পুলিশ সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

শনিবার (৬মে) ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে ওই যুবককে একই দিন জেল হাজতে পাঠানো হয়। মেয়েটির মা বাদি হয়ে আজ শনিবার (৬মে) ২ জনকে আসামী করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষনে সহযোগিতা করায় ধর্ষকসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার অপর আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।