শেরপুর নিউজঃ বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)। সোমবার (১৫ মে) রাত ৮টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ধামাহার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম সিয়াম। তিনি মালগ্রামের (কসাইপাড়া) মঞ্জু কসাইয়ের ছেলে এবং নাহিদ হত্যা মামলায় ১০ নং আসামি।
এর আগে ১০ মে মামলার ৯ নং আসামিকে ইমনকে গ্রেপ্তার করে বাহিনীটি।
সোমবার রাত পৌণে দশটার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার (সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার) নজরুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার(৯ মে) এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের মালগ্রাম ডাবতলায় পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষরা নাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করে। নাহিদ ওই এলাকার মাছ ব্যবসায়ী ঝন্টু শেখের ছেলে। নাহিদ শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে ওইদিন রাতেই নিহত নাহিদের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় রতন, রনি, রবিনসহ ১৩ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় আরও যে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়, তারা হলেন—মালগ্রামের কাঞ্চা মনির, জুম্মন, টিপু, ফারুক, ইমন, সিয়াম, জাহিদ, রমেদ, দিপু ও সেউজগাড়ি এলাকার ছাব্বির।
এদিকে, নাহিদ হত্যার পর তার বাবা ঝন্টু শেখের করা মামলার এজাহারে ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনে এলাকায় ইট-বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাবেক বিএনপি নেতা রতন এবং শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রতনের চাচাত ভাই রবিনের সঙ্গে বিরোধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
স্কোয়াড কমান্ডার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার পর র্যাবের একটি টিম আসামিদের আটক করতে তৎপর হয়। সোমবার রাতে শিবগঞ্জের ধামাহার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ১০ নম্বর আসামি সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আসামিকে সদর থানায় সোপর্দ করা হবে। মামলার বাকি আসামিদের আটক করতে র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।