শেরপুর নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একমত পোষণ করে যে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ মতৈক্য হয়। যুক্তরাষ্ট্র সময় শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে উজরা জেয়া এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, সালমান এফ রহমানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে ভবিষ্যতেও যুক্ত থাকার আশা করছি।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব আরও জোরদারসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে তারা বৈঠকে আলোচনা করেন। উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক সংঘাত, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেন। উজরা জেয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন এবং তাদের জন্য মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
নির্বাচন ইস্যুতে উভয়ে মনে করেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন। উপদেষ্টা রহমান আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না, বরং তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেখতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।